মাদারবোর্ড কি? মাদারবোর্ডের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি।মেমরি কি? মেমোরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা।
পেইজ কন্টেন্ট সূচিপত্রঃ মাদারবোর্ড কি? মাদারবোর্ডের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি ।মেমরি কি ?মেমোরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা।
- মাদারবোর্ড কি
- মাদারবোর্ডের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি
- মেমরি কি
- মেমরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা
- মেমরি এর প্রয়োজনীয়তা
- শেষ কথা
মাদারবোর্ড কি
মাদারবোর্ডই হচ্ছে একটি কম্পিউটারের মূল অংশ যা সিস্টেম ইউনিটের অভ্যন্তরে থাকে।সাধারণত কম্পিউটারের সমস্ত যন্ত্রাংশের সংযোগ স্থানকে বলা হয় মাদারবোর্ড । ইহা সিস্টেম বোর্ড বা মেইন বোর্ড হিসেবেপরিচিত।কম্পিউটারের ব্রেণ হিসাবে পরিচিত প্রসেসর এই মাদারবোর্ডের মধ্যেই থাকে। এই মাদারবোর্ড এর মধ্যে কম্পিউটারে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন -কিবোর্ড ,মাউস, মনিটর, হার্ড ডিস্ক ,ড্রাইভ, ফ্লোপি ডিস্ক ,ড্রাইভ ,পেন ড্রাইভ ইত্যাদি লাগানোর ব্যবস্থা থাকে।কম্পিউটারের সমস্ত যন্ত্রাংশের সংযোগ স্থল উক্ত বোর্ডটিতে বিধায় একে মাদারবোর্ড নামকরণ করা হয়েছে । কম্পিউটারে যেকোনো যন্ত্রাংশ স্থাপন করা হোক না কেন প্রতিটি তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদারবোর্ডের সাথে সংযোজিত।
১। মাদারবোর্ড এ থাকে বিভিন্ন ধরনের চিপসেট, বিভিন্ন ধরনের এক্সপানসান ,স্লট,সকেট ইত্যাদি। এ সকল এক্সপানসান ,স্লট, সকেটের যথাযথ স্থানে যুক্ত করা হয়।
২। মাইক্রোপ্রসেসর, র্যাম ,রম,সিমসর্যাম ,সিমস ব্যাটারি প্রয়োজনীয় এক্সপানসান কার্ড কম্পিউটারে যেকোনো যন্ত্রাংশ স্থাপন করা হোক না কেন প্রতিটি তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদারবোর্ডের সাথে সংযোজিত।
৩। কোন ডিভাইস সিস্টেমের সাথে কিভাবে সংযুক্ত হবে তার ওপর নির্ভর করে ডিভাইস গুলোকে আলাদা আলাদা নামে চিহ্নিত করা হয়।
মাদারবোর্ডের বিভিন্ন ধরনের স্লট গুলোর নাম হল-
১।AGP Slot
২।RAM slot
৩।PCI slot ইত্যাদি।
এছাড়াও মাদারবোর্ডের অন্যান্য অংশগুলো হল-
১।Keyboard and Mouse port
২।Printer port
৩।USB Port
৪।Audio In/Out port
৫।Monitor port
৬।PCI slot ইত্যাদি।
মাদারবোর্ডের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি
মাদারবোর্ডের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো
মেমরি কি
মেমোরি শব্দের অর্থ হচ্ছে সমৃতি।কম্পিউটারের যে অংশে বিভিন্ন তথ্য বা নির্দেশাবলী
সংরক্ষণ করা হয় তাকে মেমোরি বা স্মৃতি বলে।প্রক্রিয়াকরনের সুবিধার জন্য
মেমোরিতে উপাত্ত ও তথ্য জমা রাখা যায়। এবং প্রয়োজনে তা সহজে কাজে লাগানো যায়।
স্মৃতি অংশের প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য সমূহ সঞ্চয় করে রাখা।কম্পিউটারের স্মৃতি
লক্ষ লক্ষ স্মৃতি কোষ নিয়ে গঠিত ক্ষুদ্রতম স্থান যেখানে একটি বিট ০ বা ১ সংরক্ষণ
করা যায়।
মেমরি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা
মেমরি সেলঃকম্পিউটারের মেমরি লক্ষ লক্ষ স্মৃতি বা সুনিদৃষ্ট স্থান নিয়ে গঠিত
।মেমরি প্রতিটি সুনির্দিষ্ট স্থানকে মেমরি সেল বলে ।প্রতিটি মেমরি সেল
এ একটি বিট (০ বা ১ )জমা রাখা যায়।
পঠন ক্রিয়াঃ মেমরির কোন এক নির্দিষ্ট অ্যাড্রেস অবস্থিত বাইনারি ওয়ার্ড কে খুজে নেয়া হয় এবং তা অন্য এক ডিভাইসের প্রেরণ করা হয় তাকে রিড অপারেশন বলে।
লিখন অপারেশনঃ মেমরির একটি নির্দিষ্ট স্থানে একটি নতুন ওয়ার্ড সংরক্ষণ করাকে
লিখন বলা হয়। যখন মেমরির কোন নির্দিষ্ট স্থানে ওয়ার্ড বা তথ্য লেখা হয়
তখন ওই স্থানে অবস্থিত আগের ওয়ার্ডটি মুছে যায়।
ধ্বংসাত্মক মেমরিঃ যদি কোন মেমরি পঠনের পর সংরক্ষিত তথ্য মুছে না যায় তাহলে তাকে
ধ্বংসাত্মক মেমরি বলা হয়। এজন্য এ ধরনের মেমরি পঠনের ক্ষেত্রে তথ্য কে
মেমরিতে পুনরায় লিখনের ব্যবস্থাও থাকে ।যেমন -চৌম্বক কোর মেমরি।
অধ্বংসাত্মক মেমরিঃ যদি পঠনের পর সংরক্ষিত তথ্য মুছে না যায় তাহলে তাকে
অধ্বংসাত্মক মেমরি বলে ।যেমন -চুম্বক টেপ।
এক্সেস টাইমঃ মেমরি হতে রিড /রাইট অপারেশনে বা ডেটা পঠন / লিখনে যে সময় লাগে
তাকে এক্সেল টাইম বলে। প্রধান মেমরির টাইম (সময়) বলতে বুঝাই মেমরির নির্দিষ্ট
অ্যাড্রেসে অ্যাক্সেস করা এবং তা থেকে একটি শব্দ পড়া বা লেখার মোট
সময়।এক্সেস সময় যত কম হয় কম্পিউটার তত দ্রুত গতিতে কাজ করে।
বিটঃ কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা 0এবং1বলা হয় বিট ।মেমরির ধারণ ক্ষমতা পরিমাপের
ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে বিট।
বাইটঃ8 বিটের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি বিট।বিট বা বাইটের এর সমন্বয়ে তৈরি হয় শব্দ।
আরো পড়ুনঃকম্পিউটার হ্যাকিং কি? হ্যাকিং রোধে সতর্কতা। হার্ডওয়্যার চুরি প্রতিরোধ। ডেটা চুরি
কম্পিউটার শব্দঃকম্পিউটার শব্দ হলো কতগুলো বিট বা বাইটের সমষ্টি যা একসঙ্গে একক হিসাবে সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়।যেমনঃ8 বিটের শব্দ ,32 বিটের শব্দ ইত্যাদি। কম্পিউটার শব্দ দুই প্রকার।যথাঃ
১।ডেটা শব্দ (Data Word
২।নির্দেশ শব্দ(Instruction word)
মেমরির প্রয়োজনীয়তা
কম্পিউটারের কোন সমস্যা সমাধানের জন্য তথ্য ও নির্দেশাবলী প্রথমে একটি মেমরিতে
সংরক্ষণ করা হয়।তারপর একটি তথ্যের পর অন্য আরেকটি তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা
হয়।
১। প্রক্রিয়াকরনের সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ও তথ্য সংগ্রহের জন্য মেমোরির প্রয়োজন হয়।
২। প্রোগ্রাম এর পুনঃ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম সংরক্ষণের জন্য মেমরির প্রয়োজন হয়।
৩। তথ্যকে সংরক্ষণ করে তা ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন হয়।
৪। প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল সংরক্ষণের জন্য মেমরি প্রয়োজন হয়।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার সামান্যতম উপকার হয় তাহলে অবশ্যই
কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। এই ধরনের তথ্যপ্রযুক্তি মূলক আর্টিকেল পড়তে
চাইলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url