OrdinaryITPostAd

মাছের পোনা-মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি

প্রিয় পাঠক,মাছের পোনা দেশের সোনা,মাছ খাদ্য তালিকায় প্রধান,মাছ বিক্রিতে প্রচুর অর্থ উপার্জন, বিভিন্ন রকমের মাছ, মৎস্য জাতীয় সম্পদ, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।


আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য আর আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য নয়।

পোস্ট সূচিপত্রঃমাছের পোনা-। 

  • ভূমিকা
  • মাছের পোনা দেশের সোনা
  • মাছ খাদ্য তালিকায় প্রধান
  • মাছ বিক্রিতে প্রচুর অর্থ উপার্জন
  • বিভিন্ন রকমের মাছ
  • মৎস্য জাতীয় সম্পদ
  • মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি 
  • মৎস্য
  • শেষ কথা

ভূমিকা

 নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। বিদেশে শুধু নদ-নদী ছাড়া রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল, বড় বড় হাওড় এবং দীঘি-পুকুর। এসব স্থানে প্রচুর পরিমাণে মাছ রয়েছে। বড়-ছোট নানা রকমের মাছ থাকে। এসব স্থানে মাছ জন্মায় ও বড় হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে মৎস্য সম্পদ। এ সম্পদ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী সম্পদ।

দেশের মোট জনসংখ্যার আট ভাগ মৎস্যজীবী। এরা মাছ ধরে আর চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিপুল পরিমাণ মাছ বিশ্বের বাজারে রপ্তানি করছে। এ রপ্তানি থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। সুতরাং জাতীয় অর্থনীতিতে মাছের গুরুত্ব অনেক।

মাছের পোনা দেশের সোনা

মাছ দেশের সম্পদ শুধু বললেই শেষ হয় না এটি একটি অর্থকরী সম্পদ। মৎস্য চাষ করে প্রচুর অর্থ আয় করা যায়। মৎস্য বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। এজন্য সরকার মৎস্য চাষের প্রতি বিশেষ মনোনিবেশ করেছে। তাই আমরা লক্ষ্য করি এরূপ স্লোগান-"মাছের পোনা দেশের সোনা"। 

মাছের পোনা অর্থাৎ মাছের বাচ্চা। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ছোট ছোট মাছ মারার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। অথচ তারা ভাবে না এ মাছ বড় হলে অনেক লাভ। লাভ স্বাদের দিক থেকে যেমন অর্থের দিক থেকেও তেমনি। ছোট মাছ না মারার জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।মাছের পোনা মারলে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার প্রক্রিয়া প্রচলন করা হয়েছে। এতে বিনা বিচারে মৎস্য নিধন করা অনেকটা বন্ধ হয়েছে । 

ছোট ছোট পোনা মাছ যেন অকাতরে নিধন করা না হয় তার জন্য প্রচার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেতার ও টেলিভিশনে মাঝেমধ্যে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায় এবং বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। 

এতে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বুঝতে পারছে মাছের পোনা সত্যিই দেশের সোনা। বিজ্ঞাপন প্রচারেরএ ভাষা খুবই আকর্ষণীয়এবং সাধারণ মানুষের বুঝতে সুবিধা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তাই এ ভাষা খুবই সহজ সাবলীল এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে নিঃসন্দেহে বলা যায়। মাছের পোনা বড় হলে সে মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব এবং তাতে এ মাছই দেশের সোনার কার্যকর ভূমিকা পালনের সহযোগিতা করবে।

 মাছ খাদ্য তালিকায় প্রধান 

খাদ্য তালিকায় মাছ প্রধান হিসেবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। বাঙালির ঘরে মাছ ছাড়া খাত যে অকল্পনীয়। আমাদের দৈনন্দিন খাওয়ার তালিকায় মাছ তরকারি হিসেবে অবশ্যই থাকতে হবে। এর একমাত্র কারণ বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে মাছ যায় পাওয়া যায়।

মাছ বিক্রিতে প্রচুর অর্থ উপার্জন

আমাদের দেশে অনেকেই নিজস্ব পুকুর কিংবা দীঘিতে নিজেদের খাওয়ার জন্য বা বিক্রির উদ্দেশ্যে মৎস্য চাষ করে থাকে। আর এ মৎস রুই, কাতল,মৃগেল প্রভৃতির পোনা সংগ্রহ করে পুকুর বা দিঘিতে সংরক্ষণ করে। এ পোনা অতি অল্প সময়েই বড় আকারে পরিণত হয় এবং খাওয়ার উপযুক্ততা অর্জন করে। তখন বাজারে বিক্রি করে বিনিময়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়।

বিভিন্ন রকমের মাছ

বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের মাছ পাওয়া যায়। এসব মাছের মধ্যে ইলিশ, কাতল, বাইন, মাগুর, কই, চিতল, পাবদা,পুটি, চিংড়ি, মোলা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ইলিশ মাছ স্বাদের দিক থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইলিশ কেবল নদীতেই পাওয়া যায়। পুকুর, দিঘী কিংবা বিলে-ঝিলে এই মাছ জন্মায় না। পদ্মার ইলিশ খুব সুস্বাদু। তাই এর চাহিদা দেশে-বিদেশে খুব বেশি।

মৎস্য জাতীয় সম্পদ

পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যাদের মৎস্য সম্পদই প্রধান। এসব দেশ মৎস্যকে রপ্তানি উপযোগী করে সংরক্ষিত করে এবং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। ইদানিং আমাদের দেশেও মৎস্য সম্পদ জনসাধারণ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এটি এখন জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের সব জায়গায় মৎস্য বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মৎস্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত।

বর্তমানে আশার আলো দেখা যাচ্ছে যে, মাছের পোনা সত্যি দেশের সোনা হিসেবে রূপান্তরিত হচ্ছে। এবং কেবল বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে নয় দেশের মাছ দেশে বিক্রি করে অঢেল অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। তাই জেলে আর সর্বস্তরের মানুষ মাছের পোনা নিধন থেকে বিরত থেকে দেশের সম্পদ বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে-এটাই সকলের কাম্য হওয়া উচিত।

 মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি 

বর্তমান সরকার মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মৎস্য পক্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে জনসাধারণের মাঝে মৎস্য জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় করে তোলার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।এর ফলে দেশের মৎস্য ছাড়াও বহিরাগত উচ্চ বহিরাগত উচ্চ ফলনশীল মাছের চাষাবাদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মৎস্য

মৎস্য আমাদের অন্যতম জাতীয় সম্পদ। শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার জন্য নয়, বিদেশের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখেও মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এজন্য আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে হবে। মৎস্য চাষ করার জন্য জনগণকে উৎসাহ জোগাতে হবে। মৎস্য মেলা, মৎস্য পক্ষ, পালন করা যেতে পারে।

 বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।এ চাহিদা সম্প্রসারণ করে মৎসকে স্থায়ী সম্পদে পরিণত করতে হবে। তাহলে মাছের পোনা দেশের সোনা হয়ে অন্যতম প্রধান অর্থকরী সম্পদ হিসেবে স্থান লাভ করুক এটা আমাদের সকলেরই কাম্য।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক, এই আর্টিকেলটি পরে আপনি সামান্যতম উপকৃত হলে অবশ্যই লাইক ,কমেন্ট এবং শেয়ার করে পাশে থাকবেন। এবং এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে চাইলে আমার ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪