পলিটেকনিকেলে পড়ার সুবিধা
প্রিয় পাঠক, আজকের এই পোস্টে পলিটেকনিকেলে পড়ার কি কি সুবিধা রয়েছে বা পলিটেকনিকেলে পড়ার সুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
আপনি যদি না জেনে থাকেন,তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য আর আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য নয়।
পোস্ট সূচিপত্র -পলিটেকনিকেলে পড়ার সুবিধা।
- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির যোগ্যতা।
- পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া।
- সরকারি পলিটেকনিক এবং বেসরকারি পলিটেকনিক এর মধ্যে সুবিধা এবং অসুবিধা।
- সরকারি বনাম বেসরকারি পলিটেকনিক এর বৈষম্য।
- বেসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে করণীয়।
- প্রাইভেট পলিটেকনিক ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে।
- পলিটেকনিকেলের সেরা বিষয় কি কি?
- বাংলাদেশের সরকারি সেরা ১১ টি পলিটেকনিকের নাম।
- পলিটেকনিকেলে পড়ার সুবিধা।
- কোন বিষয় নিয়ে পড়লে কি চাকরি পাওয়া যায়।
- শেষ কথা।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি যোগ্যতা
সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির যোগ্যতাঃ বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সেজন্য এখানে চান্স পাওয়াটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। মূল কথায় আসি আপনার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন পৃথকভাবে হয়ে থাকে। ছাত্রদের ক্ষেত্রে এসএসসিতে 3.50 প্রয়োজন হয়। গণিত বা উচ্চতর গণিতে 3 পয়েন্ট পেতে হবে।এখন আপনি যদি এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করে থাকেন তাহলে আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনাটা অনেকটাই বেশি। আপনার এসএসসিতে রেজাল্ট খুব একটা ভালো না হলেও যদি ওই কলেজের ওই বিভাগে সিট ফাঁকা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি চান্স পেলেও পেতে পারেন।
আপনি যদি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী না হয়ে অন্য যেকোনো বিভাগের শিক্ষার্থী
হন।যেমনঃ মানবিক, ব্যবসা, দাখিল ইত্যাদি। আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন
তাহলে আপনাকে এসএসসিতে 3.50 থাকতে হবে।আর আপনি যদি মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে
এসএসসিতে 3.00 পয়েন্ট থাকতে হবে।
বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির যোগ্যতাঃ বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে 2.00 প্রাপ্ত ছেলে এবং মেয়ে সকল শিক্ষার্থী অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। তবে বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চান্স পাওয়াটা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চেয়ে তুলনামূলক অনেক সহজ। মানে আপনি চাইলে বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারবেন।
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করার তিনটি ধাপ রয়েছে। মোটকথা আপনি তিনবার পর্যন্ত আবেদন করতে
পারবেন।প্রথমে আপনি অনলাইনে আবেদন করবেন। এবার আবেদন করার পর আপনি যদি কলেজ
পেয়ে যান তাহলে টাকা দিয়ে নিশ্চয়ন করে ফেলবেন তাহলে আপনার মাইগ্রেশন অন হয়ে
যাবে। আপনি কলেজ পেয়ে গেছেন কিন্তু যেই কলেজ পেয়ে গেছেন সে কলেজ আপনার
পছন্দ না তাহলে নিশ্চায়ন করবেন না না করে আপনি চাইলে দ্বিতীয়বারের মত আবার
আবেদন করতে পারবেন। তারপর আপনি কলেজ পেয়ে যাবেন ।এবার সেই কলেজ যদি আপনার পছন্দ
না হয়ে থাকে।তাহলে আপনি তৃতীয় বারের মত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।আপনি যখন
কলেজে কোন একটি সাবজেক্ট পেয়ে যাবেন তখন একটি নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে আপনাকে
ভর্তি হতে হবে।
সরকারি পলিটেকনিক এবং বেসরকারি পলিটেকনিক এর মধ্যে সুবিধা এবং অসুবিধা
সরকারি পলিটেকনিকঃ সরকারি পলিটেকনিক এর সুবিধা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো
১। টাকা কম লাগে।
২।ল্যাব কোয়ালিটি বেশ ভালো ।
৩।স্থায়ী শিক্ষক মন্ডলী
বেসরকারি পলিটেকনিকঃ বেসরকারি পলিটেকনিক এর সুবিধা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
১। নিয়মিত ক্লাস ও উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
২। অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ।
৩।ল্যাবের যন্ত্রপাতি যেটুকু থাকে সেটুকুই ছাত্রছাত্রীদের মাঝে শিখিয়ে দেন ।
৪।রাজনীতি মুক্ত পরিবেশ
সরকারি পলিটেকনিক এর অসুবিধা .
১।রাজনৈতিক পরিবেশে ক্লাস পরিচালনা সঠিকভাবে হয় না।
২।কিছু কিছু সময়ে সিলেবাস পুরো শেষ করতে পারেনা।
৩।কিছু পলিটেকনিক ছাত্রদের কেয়ার করে না এতে অনেক ভালো ছাত্র বিপদে চলে যায় ।এটা প্রধানত ব্যক্তিগত কারণ।
বেসরকারি পলিটেকনিক এর অসুবিধা
কিছু পলিটেকনিক আছে যারা শুধু টাকা কেন্দ্রিক পড়াশোনা করায় ,শিক্ষার মান বজায় রাখে না। শিক্ষকদের বেতন অনেক কম দেয়।ফলে কিছুদিন পর পর শিক্ষক পরিবর্তন হয়।আসলে এটার বিরুদ্ধে BTEB এর একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা উচিত।
সরকারি বনাম বেসরকারি পলিটেকনিক এর বৈষম্য
কিছু কিছু কোম্পানির জব সার্কুলারে উল্লেখ করে দেয় শুধু সরকারি পলিটেকনিক থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।বেসরকারি পলিটেকনিক থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না।সুতরাং, এখানে বৈষম্য তৈরি কারা করছেন নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন।
অনেকেই ভাবে প্র্যাকটিক্যাল নাম্বার প্রাইভেট পলিটেকনিকে যারা পড়ে তারা বেশি
পায় ।কথাটি আংশিক সত্য পুরোপুরি সত্য নয় ।তবে খুব বেশি ডিফারেন্স থাকে
না।সরকারি জব বা ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি অথবা বেসরকারি উভয় পলিটেকনিক থেকে
পাশ করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় বসতে পারে।সার্টিফিকেটের মানে কোন বৈষম্য
নাই।কারণ সব সার্টিফিকেট BTEB প্রদান করে থাকে।
বেসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে করণীয়
যদি সরকারি পলিটেকনিকে চান্স না হয় তবে টাকা লাগলেও ভালো মানের
বেসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পারেন।এখন টেকনিক্যাল স্কুল
এন্ড কলেজ গুলোতে ডিপ্লোমা কোর্স চালু আছে।সেখানে তুলনামূলক কম পয়েন্ট পেলেও
ভর্তি হতে পারবেন।তাই সেদিকে চেষ্টা করতে পারেন। সব শেষে না হলে
প্রাইভেট পলিটেকনিকে ভর্তি হতে পারবেন।
প্রাইভেট পলিটেকনিক ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে
এরা ভাবে প্রাইভেটে পড়ি ডুয়েট এডমিশন দিবো না বা সরকারি জব প্রিপারেশন নিবো না এসব মানসিকতার জন্য বেসরকারি ছাত্র-ছাত্রীদের পিছিয়ে পড়তে হয় । আপনি চাইলে বেসরকারিতে পড়েও ভালো কিছু করা সম্ভব।
পলিটেকনিকেলের সেরা বিষয় কি কি
১। ডিপ্লোমা-ইন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং
২। ডিপ্লোমা-ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
৩।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৪। হোটেল ম্যানেজমেন্ট
৫। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং
৬। ডেন্টাল মেকানিক্স
৭। আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং
৮। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
.৯। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
১০। পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং
১১অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
১২। কম্পিউটার সায়েন্স
১৩।ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
বাংলাদেশের সরকারি সেরা ১১ টি পলিটেকনিকের নাম
১।ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
২।চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৩।কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৪।বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৫।সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৬।পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৭।বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৮।রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
৯।বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
১০।রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
১১। রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
পলিটেকনিকেলে পড়ার সুবিধা
আপনি জানেন যে আমাদের প্রিয় পৃথিবীতে ক্ষুধা আর দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে লেখাপড়া শেষে বেকারত্বের অপবাদ বয়ে বেড়াতে হয় ।এই অপবাদ দূর করার লক্ষ্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করেছে।
তাই ডিপ্লোমা ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে নিজেকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করার জন্য সরকার যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন সেই উদ্যোগের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অনেকগুলো রয়েছে।অনেক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি ডিপ্লোমা- ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে আপনার নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবেন।
পলিটেকনিকেলে পড়ার অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আপনি আপনার দেশের যেকোন একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি শেষ করে বের হতে পারলে চারিদিক থেকে ভালো ভালো চাকরি অফার আপনি নিয়মিত পেতে থাকবেন।এ বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকেন।আপনি যদি চাকরি না করতে চান ,তাহলে আপনি যে বাস্তবমুখী বা কারিগরি শিক্ষা নিয়েছেন সেই বাস্তবমুখী বা কর্মমুখী শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।সে অর্থ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। পলিটেকনিক পড়ার সুবিধাগুলো নিচে দেয়া হলো।
যারা অল্প সময়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাদের জন্য ডিপ্লোমা ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং হবে প্রথম পছন্দ। কারণ ডিপ্লোমা ইন- ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স মাত্র ৪ বছরে সমাপ্ত করে কর্মজীবনে প্রবেশ করা যায়। যাদের পরিবার খুব বেশি সচ্ছল না এবং যাদের খুব তাড়াতাড়ি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে পরিবারের হাল ধরতে হবে ,তাদের জন্য ডিপ্লোমা ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা মাত্র চার বছরে ডিপ্লোমা ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পূর্ণ করে সরকারি -বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে একটি চাকরি অবশ্যই পাওয়া যায়।
যাদের ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ,মেশিন বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি প্রতি আগ্রহ আছে অর্থাৎ যাদের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি কাজ করে তাদের জন্য ডিপ্লোমা ইন -ইঞ্জিনিয়ারিং একটি ভালো অপশন হতে পারে। যারা মানবিক কিংবা ব্যবসা থেকে এসএসসি পাস করেছেন কিন্তু আপনাদের ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার তাদের জন্য একমাত্র অপশন হল ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করার পরে চাকরির পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিংবা ডুয়েট থেকে বিএসসি করার সুযোগ পাওয়া যাবে। যারা অল্প পড়াশোনা করে বিদেশে যেতে চান এবং সেখানে গিয়ে একটি সম্মানজনক চাকরি পেতে চান তারাও ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পারেন। এছাড়া ভালো রেজাল্ট করলে ফুল স্কলারশিপ অথবা হাফ স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়ে পড়াশুনা করার সুযোগ রয়েছে।
বর্তমান যুগে সব জায়গায় প্রতিযোগিতা রয়েছে ,ঠিক তেমনি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রতিযোগিতা আছে।
দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরি বা সেকেন্ড ক্লাস অফিসার । এছাড়াও বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিতে জবের অফার। আপনি ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে সেকেন্ড ক্লাস অফিসার হতে পারবেন না আপনাকে সেকেন্ড ক্লাস অফিসার হবার জন্য অনার্স পাস করতে হবে। কিন্তু আপনি চার বছরের ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি কমপ্লিট করে সেকেন্ড ক্লাস অফিসার হতে পারবেন।
খরচ কম এবং কম সময়ে ডিগ্রি অর্জন। এখন আপনি ভাবছেন যে খরচ তো কম হয় না তাহলে আপনি কেন বলছেন কম খরচ হয় আসলে আপনি যদি একজন ভালো শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন এবং প্রতি সেমিস্টারে ভালো রেজাল্ট করতে পারেন তাহলে আপনি নিয়মিত উপবৃত্তি পাবেন আর নিয়মিত উপবৃত্তি পেলে আপনার টাকা কম খরচ হবে এজন্য বলা হয়েছে যে খরচ কম।
কম সময় ডিগ্রি অর্জন বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে আপনি জেনারেল থেকে ইন্টারমিডিয়েট
পাস করতে সময় নেবেন দুই বছর ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর অনার্স পাশ করতে আপনার
লেগে যাবে চার বছর এই মোট ছয় বছর লাগবে।আপনার কিন্তু এখানে আপনার চার
বছর লেগে যাবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি সম্পূর্ণ কমপ্লিট করতে।সেই
হিসেবে এখানে আপনার সময়টা কম লাগছে। এজন্য এখানে বলা হয়েছে যে কম সময়ে ডিগ্রী
অর্জন।
কোন বিষয় নিয়ে পড়লে কি চাকরি পাওয়া যায়
Computer Science and Technology
চাকরির ক্ষেত্র সমূহ
কম্পিউটার সফটওয়্যার কোম্পানি, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রোগ্রামার,হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি বেসরকারি ব্যাংকে মেইনটেনেন্স ও আইটি অফিসারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার, অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ, এনজিও, মোবাইল কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, সকল এমপিও ভুক্ত স্কুল ও কলেজের চাকরির সুযোগ।
Electrical Technology
চাকরির ক্ষেত্রে সমূহ
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড,পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র,ডিপিডিসি,পল্লী বিদ্যুৎ,পিজিসিবি, রাজউক, ওয়াসা, বিটিসিএল, এবং ইপিজেড এ চাকরির সুযোগ। বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিটিভি, বেতার সহ বেসরকারি যেকোন রেডিও এবং টিভি চ্যানেলের চাকরির সুযোগ। সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) বন্দর ), বন্দর কর্তৃপক্ষ, ইকোনমিক জোন, পার্ট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় সহ টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির সুযোগ । সরকারি বেসরকারি ব্যাংক সমূহ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশে টেকনিক্যাল অফিসার পদে চাকরির সুযোগ। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে চাকরির সুযোগ এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
Electronics Technology
চাকরির ক্ষেত্র সমূহ
সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির সুযোগ। টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে চাকরির সুযোগ। বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিটিভি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, হাইটেক পার্ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সহ এয়ারপোর্ট রাডার স্টেশন,রেডিও স্টেশন, মোবাইল কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির সুযোগ।
Mechanical Technology
চাকরির ক্ষেত্র সমূহ
সুগার মিলস,সার কারখানা, পেপার মিলস, টি ফ্যাক্টরি, ফার্ম এন্ড মিশনারিজ, লেদার ইন্ডাস্ট্রি, এলুমিনিয়াম ফ্যাক্টরি, রি রোলিং ফ্যাক্টরি, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, সু ফ্যাক্টরি, গ্লাস ফ্যাক্টরি, বাংলাদেশ অক্সিজেন লিমিটেড,হেভি ইন্ডাস্ট্রি, জুট মিলস, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, ডিপ অয়েল পাম্প ও বাইসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং, শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরির সুযোগ। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনি, নৌবাহিনী, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং ইকোনমিক জোন সমূহ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, এছাড়াও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহে শিক্ষক পদে চাকরির সুবিধা।
Automobile Technology
চাকরির ক্ষেত্রে সমূহ
বাংলাদেশ ব্যাংক, বিআরটিসি, ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বি আর টি এ, সিটি কর্পোরেশন, পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি,সার্ভিস স্টেশন, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ,আফতাব মটরস, রেলওয়ে,ক্যান্টনমেন্ট ট্রান্সপোর্ট, ভোকেশনাল ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সমূহে চাকরির সুবিধা। বি আর টি এ তে গাড়ির ফিটনেস দেওয়ার জন্য অথরাইজড অফিসার হিসেবে বি আর টি এ তে পরিবহন কর্মকর্তা হিসেবে সেকেন্ড ক্লাস অফিসার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবহন পুলে অথরাইজড অফিসার হিসাবে, ফায়ার সার্ভিসে পরিবহন কর্মকর্তা হিসেবে সেকেন্ড ক্লাস অফিসার পলিটেকনিকের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন, ডুয়েট, গাজীপুরে বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ,সরকারি ও বেসরকারি প্রগতি ,নাভানা, টাটা,গাড়ি কারখানায় চাকরির সুযোগ,বিদেশে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির সুযোগ।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, আশা করি আপনি ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন পলিটেকনিকেলে পড়ার সুবিধাগুলো
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত
হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ভালো থাকবেন
,সুস্থ থাকবেন আর নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url